১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের পরেই দেশ গঠনের জন্য আত্ননিয়োগ করেন দেশপ্রেমিক জনগণ। নাটোর জেলার বড়াইগ্রাম উপজেলার মানুষও তাদের ব্যতিক্রম নন। তারা অনুভব করেন শিক্ষা ব্যতীত কোন জাতি উন্নতি করতে পারে না। আর শিক্ষার জন্য প্রয়োজন একটি উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, যেখানে অবহেলিত এই জনপদের সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের সন্তানেরা সঠিক শিক্ষা লাভ করে দেশ গঠণের কাজে আত্ননিয়োগ করবে। তাদের এই প্রচেষ্টায় এগিয়ে আসেন এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। তাদের মধ্যে তৎকালীন সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রয়াত রফিক উদ্দিন সরকার অন্যতম। অত্র কলেজ প্রতিষ্ঠার পূর্বে বড়াইগ্রাম থানায় অন্য কোন উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে না উঠায় বড়াইগ্রাম থানার নামেই কলেজটির নামকরণ করা হয় “বড়াইগ্রাম কলেজ”। একমাত্র এবং প্রথম কলেজ হিসেবে ১৯৭৩ সালে সর্বপ্রথম কলেজটি স্থাপিত হয়ে যাত্রা শুরু করে বর্তমান অবস্থান থেকে প্রায় ১ কিঃ মিঃ দুরে বড়াইগ্রাম পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় চত্তরে। পরবর্তীতে স্থান সংকুলান না হওয়ায় তৎকালীন প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ জনাব মোঃ আজহারুল হক বড়াইগ্রাম থানার রয়না মৌজায় স্থানীয় জনগণের সহায়তায় কলেজটি স্থানান্তর করেন। ১৯৭৪ সালে কলেজটি মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, রাজশাহী অনুমোদন স্বীকৃতি লাভ করে। ১৯৮৮ সালে সর্ব প্রথম রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে স্নাতক (পাস) কোর্স পাঠদানের অনুমতি পায় এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যায় প্রতিষ্ঠার পর ১৯৯৯ সালে বিএসসিসহ অন্যান্য বিভাগের অনুমতি লাভ করে। বর্তমানে কলেজটিতে উচ্চ মাধ্যমিক, স্নাতক (পাস) ও ৭টি বিষয়ে স্নাতক (সম্মান) কোর্স চালু রয়েছে।

২০১৮ সালের ৮ আগষ্ট কলেজটি সরকারিকরণ করা হয়।